শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্য়ালয়ে বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী একথা বলেন। 

[৩] বৈঠকে আরো অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য সদস্য শামা ওবায়েদ।  ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকে।

[৪] এক প্রশ্নের জবাবে  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অফিসে গিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগাদা দেওয়া অর্থটা কী? কিছুটা তো লজ্জা শরম থাকাটা উচিত। 

[৫] হাইকমিশনার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি তারা কোনো সর্মথন জানিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে কেন আসছে? কেন বার্তা দিচ্ছে। কেন তারা প্রতিনিয়ত নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য অংশীদারিত্বমূলক কথা বলছে। তারা কি অন্য কোনো দেশে যাচেছ? তারা কি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশে যাচ্ছে। কোথাও যাচ্ছে না। বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় না এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে। তারা যেভাবে কথা বলছে, এতে প্রমাণ হয় বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। 

[৬] খসরু বলেন, এছাড়া আর সাম্প্রতিক যে প্রেক্ষাপটটা বাংলাদেশে চলছে , কত এক সপ্তাহের প্রেক্ষাপট যদি আমরা লক্ষ্য করি কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কতজন আহত হয়েছে, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে, কত মামলা হয়েছে। তারপর কোথায় কোথায় ডিসি পোস্টিং হচ্ছে। পুলিশ অফিসার, টিএনও পোস্টিং হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এত কিছুর পরও নির্বাচনে চুরি করার প্রকল্প অব্যাহত আছে। সকলের দৃষ্টি এদিকে তো আছে। দৃষ্টি এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোট চুরির প্রকল্প ভীষণভাবে প্রত্যেকদিন কাজ করছে। 

[৭] তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিচার ব্যবস্থাকে ত্বরাণি¦ত করার জন্য অভ্যন্তরীণ যে আলোচনাগুলো চলছে এগুলোতো বিরাট ভয়ঙ্কর। আর একারণে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া একটি নির্বাচন করা এদেশে সম্ভব না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব